অভিযুক্তদের সেনানিবাসে রাখা আইনের শাসনে প্রশ্নবিদ্ধ: টিআইবি
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনানিবাসে হেফাজতে রাখার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংগঠনটি বলেছে,
এ সিদ্ধান্ত আইনের সমান প্রয়োগ ও সাংবিধানিক অঙ্গীকারের পরিপন্থি, যা ‘ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ’ করছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেন—
একই অভিযোগের ক্ষেত্রে পরিচয় বা অবস্থানের কারণে বৈষম্য কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়ায় পেশাগত পরিচয় বা পদমর্যাদা বিবেচনায় নেয়ার কোনও সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন,
অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ যদি সেনা কর্মকর্তা হন, সে কারণে তাদের জন্য ‘বিশেষায়িত সাব-জেল’ বা সেনা হেফাজতের ব্যবস্থা করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। সরকারের এ ধরনের বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করবে।
টিআইবির মতে, সরকারের এ আচরণ ‘মর্জিমাফিক’ ও ‘অস্বচ্ছ, যা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা দুর্বল করে দেবে।
সংস্থাটি সরকারের উদ্দেশে বলেছে—
অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের সেনানিবাসে রাখার যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রকাশ করা এখন সরকারের দায়িত্ব। অন্যথায় এটি রাষ্ট্রের আইনের শাসনের প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করবে।
উল্লেখ্য, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে অন্তত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে সম্প্রতি সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্কের পর সোমবার সরকার ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সবার দেশ/কেএম




























