Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:৪১, ১৬ মে ২০২৫

গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে মির্জা ফখরুল

ফারাক্কা দিবস জাতীয় আন্দোলনের এক তাৎপর্যময় দিন

ফারাক্কা দিবস জাতীয় আন্দোলনের এক তাৎপর্যময় দিন
ফাইল ছবি

১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দিনটি বাংলাদেশের জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে স্মরণীয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে অবিসংবাদিত নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ফারাক্কা বাঁধের বিপক্ষে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চে অংশ নেন। এ কর্মসূচি ছিলো গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের এক সাহসী পদক্ষেপ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গা নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অনেক এলাকা মরুপ্রবণ হয়ে উঠেছে, নদীগুলো শুকিয়ে গেছে, পরিবেশে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামত উপেক্ষা করে ভারতকে পরীক্ষামূলকভাবে বাঁধ চালুর অনুমতি দিয়েছিলো। কিন্তু সে ‘পরীক্ষামূলক’ অনুমতি আজও কার্যকর রয়েছে এবং সেটি বাংলাদেশের জন্য একপ্রকার মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজও ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। ৫৪টি অভিন্ন নদীর উপর একের পর এক বাঁধ নির্মাণ এ সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দিন দিন ঊষর হয়ে উঠছে, কৃষি ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এ বাস্তবতায় ১৬ মে-র বার্তা হচ্ছে—ন্যায্য পাওনা আদায়ে সাহসী জনতার ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ।

বাণীর শেষাংশে মির্জা ফখরুল ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন এবং দেশবাসীকে পানি অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

সবার দেশ/কেএম