যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ছাত্রশক্তির
রাতের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে জাতীয় ছাত্রশক্তি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে—বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতের মধ্যেই পদত্যাগ না করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।
১৮ ডিসেম্বর বিকেলে শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা আসে। সমাবেশে ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা বক্তব্য দেন—তাদের অভিযোগ, দেশের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, বিপ্লবী নেতাদের ওপর একের পর এক হামলা-হত্যাকাণ্ড ঘটছে, কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
সভাপতি জাহিদ আহসান সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন,
যদি মনে করেন এ কণ্ঠ আপনার কানে পৌঁছায় না, যমুনায় গিয়ে কণ্ঠ পৌঁছে দেবো। শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে আজ রাতেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সরান। না হলে রাতে বাসার পাশেই এ কণ্ঠ তুলবো।
তিনি অভিযোগ করেন—ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমির মৃত্যু–এসবই আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার চিত্র। রুমিকে দীর্ঘদিন সাইবার বুলিংয়ের মুখে পড়তে হলেও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে দাবি করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেয়ার যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের আলু-পেঁয়াজ সামলাতে বাণিজ্য ও কৃষি উপদেষ্টা আছেন। কিন্তু এমন একজন মানুষকে স্বরাষ্ট্রে রাখা হচ্ছে যার নিরাপত্তা–বোধ নেই—এটা অন্তর্বর্তী সরকার মেনে নিতে পারে না।
ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুলতানা জেদনী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম পদত্যাগ না করলে রাজপথ ছাড়বো না। প্রয়োজনে যমুনা আবার ঘেরাও করবো, যেমন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে করেছিলাম।
সমাবেশজুড়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান তোলেন—
হাদিরা মরে না, ২৪ হারে না, ৭১-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো, শেষ হয়নি যুদ্ধ—ইত্যাদি।
বিক্ষোভ শেষে তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য, ভিসি চত্বর ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে আসে এবং শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তির সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির অভিযোগ করেন,
ওসমান হাদির ওপর গুলির পর এতদিনেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি—তার বিপরীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও দেশের স্বার্থে ‘কঠোর অবস্থান’ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তার দাবি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও বাংলাদেশের হয়ে দাঁড়াতে পারেনি—ভারতের তাবেদারি করেই যাচ্ছে।
ছাত্রশক্তির অবস্থান—যদি রাতের মধ্যেই পদত্যাগ না আসে, এবার লক্ষ্য হবে যমুনা।
সবার দেশ/কেএম




























