Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৫০, ৭ মে ২০২৫

আপডেট: ০৩:১৯, ৭ মে ২০২৫

অপরেশন সিন্দুর, উপমহাদেশে যুদ্ধের আশঙ্কা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু
ছবি: সংগৃহীত

ভারত পাকিস্তানের তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের কোটলি ও মুজাফফরাবাদ এবং পাঞ্জাবের আহমেদপুর ইস্ট।

পাকিস্তান এ হামলাকে উসকানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে এবং প্রতিশোধ নেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ভারতের এ আক্রমণের জবাব সময় ও স্থানের পছন্দ অনুযায়ী দেয়া হবে। এ হামলা উপেক্ষা করা হবে না।

তিনি জানান, পাকিস্তান বিমান বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থাকায় কোনো ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারেনি। হামলার পরপরই সেনাবাহিনী ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব শুরু করেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুজাফফরাবাদে তিনটি এবং আহমেদপুর ইস্টে চারটি তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ভারত এ হামলার জন্য সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে দায়ী করে, যদিও পাকিস্তান তা জোরালোভাবে অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে ‘অপারেশনাল ফ্রিডম’ দিয়েছেন, যার ফলে সেনাবাহিনী এখন নিজ সিদ্ধান্তে সামরিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পূর্বেই সতর্ক করেছিলেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ ‘যে কোনো সময় ঘটতে পারে।

পাকিস্তান সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতীয় সেনাও সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে এমন সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিস্থিতিকে এক ভয়াবহ মোড়ে নিয়ে যেতে পারে, যদি দ্রুত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ না আসে। ইতিহাসে এ ধরনের উত্তেজনা পূর্বেও দেখা গেলেও বর্তমান পরিস্থিতি অনেক বেশি অস্থিতিশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ।

সবার দেশ/কেএম