যুদ্ধের ডামাডোল বাজাচ্ছেন মোদি
ভারতের ‘মক ড্রিল’- ফিরিয়ে আনছে একাত্তর

বুধবার (৭ মে) দেশজুড়ে হতে চলেছে মক ড্রিল। পহেলগামে ২৬ জন পর্যটকের প্রাণহানির পর , ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতোমধ্যেই সম্পর্ক তলানিতে। সংঘাতের কাছাকাছি পৌঁছেছে দুই দেশের সম্পর্ক। যুদ্ধের আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷ এমতাবস্তায় সরকার সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রস্তুতির জন্য সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে মক ড্রিল শুরু করার জন্য একটি জাতীয় নির্দেশিকা জারি করেছে।
১৯৭১ সালের পর থেকে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সংহতি চিহ্নিত করে, যখন বাংলাদেশের পক্ষাবলম্বন করে ভারত সর্বশেষ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলো পাকিস্তানের সঙ্গে। এ সংঘাত দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্রই পুনর্নির্মাণ করেছে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্মলাভ করেছে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের।
১৯৭১ সালের স্মরণে বলা যায়, তখন শহরগুলিতে সাইরেন বাজানো হয়েছিলো, নাগরিকদের আশ্রয় নিতে এবং আলো নিভিয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিলো - শত্রু বিমানকে বিভ্রান্ত করার এবং বিমান বোমাবর্ষণে হতাহতের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যকে কঠোর প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলো। সিমুলেটেড দৃশ্যপটের মধ্যে ছিলো সাধারণ নাগরিকদের বাঙ্কারে স্থানান্তর করা, বিমান হামলার সাইরেনের প্রতিক্রিয়া জানানো এবং শহরজুড়ে ব্ল্যাকআউট অনুশীলন করা। বিশেষ করে পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো ফ্রন্টলাইন রাজ্যগুলির পাশাপাশি দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কোলকাতার মতো প্রধান মহানগর কেন্দ্রগুলিতে তীব্র মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সে মহড়া এবার নতুন রূপে আসতে চলেছে আজ বুধবার (৭ মে) সারা ভারতজুড়ে।
সবার দেশ/কেএম