কাশ্মীর থেকে কপাল জ্বলছে উপমহাদেশের
আগুন নিয়ে খেলছে ভারত: হিনা রব্বানী খার

কোনো জাতির ঘুম ভেঙে উঠে যদি শুনতে হয়, ‘মিসাইল পড়েছে শহরের ঠিক পাশেই’, তখন সে শব্দ কেবল রাজনৈতিক বিতর্কে আটকে থাকে না। তখন তা হয়ে ওঠে শিশুদের কান্না, মায়েদের আতঙ্ক, বাবাদের বোবা বিস্ময়। গতকাল রাতটা ঠিক এমনই ছিল আজাদ কাশ্মীরের মানুষের জন্য।
গভীর রাতের গর্জন
ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীর সীমান্তের ওপারে—আজাদ কাশ্মীরের কোটলি, মুজাফফরাবাদ, ভাওয়ালপুরসহ অন্তত পাঁচটি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারে। স্থানীয়রা জানান, প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ রাত ১টার পর শোনা যায়। এরপর একের পর এক আলোয় ঝলসে ওঠে আকাশ।
ভারত আগুন নিয়ে খেলছে— হিনা রব্বানী খার
এ ঘটনার জবাবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানী খার সরাসরি বলেন— ভারতের এ হঠকারী সিদ্ধান্ত আগুন নিয়ে খেলার মতো। তারা ভুলে যাচ্ছে, পাকিস্তানও একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, এটা শুধু একটি দেশের অভ্যন্তরে হামলা নয়, এটা আন্তর্জাতিক আইনকে উপহাস করার নাম।
চুক্তির পর চুক্তি ভাঙছে
সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে ভারত একতরফাভাবে স্থগিত করে দেয় ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি বন্ধ করে এবং ভারতীয় বিমান চলাচলের জন্য নিজেদের আকাশসীমা সিল করে দেয়। দুদেশের কূটনৈতিক ভাষা এখন যেন আর শোনায় না—তা বরং গর্জন করে।
পাল্টা জবাবেও রক্তের দাগ
পাকিস্তানও চুপ থাকেনি। রাতেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কয়েকটি এলাকায় গোলাবর্ষণ চালায় তারা। ভারতীয় মিডিয়ায় দাবি, তাতে ১০ বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩০ জনের বেশি। ভারতের ৫ টি সামরিক বিমানের সিঁধুর মুছে দিয়েঝছ পাকিস্তান। বন্ধী করেছে ভূপাতিত করা সামরিক বিমানের পাইলটদের।
আকাশে যুদ্ধবিমানের শব্দ, মাটিতে শিশুর কান্না
আজাদ কাশ্মীরের এক বাসিন্দা বলেন, ঘুম ভেঙে দেখি ছাদের কাঁচ ভেঙে পড়ে গেছে। বাচ্চারা কাঁদছে, কেউ জানে না কি হচ্ছে।
এ আতঙ্ক কেবল সীমান্তে নয়, দিল্লি-ইসলামাবাদেও স্পষ্ট—টেবিলে চা নয়, এখন সেখানে ‘লাল বোতামের’ শঙ্কা।
শান্তি কি ফিরে আসবে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ উত্তেজনার সময় মানুষকে ভুলে যাচ্ছে দুই দেশই। ভুলে যাচ্ছে, শান্তির সুযোগ একবার হাতছাড়া হলে তা ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। এ আগুনের নীচে পুড়বে শুধু কূটনীতি নয়—পুড়বে সংসার, স্বপ্ন আর ইতিহাস।
সবার দেশ/কেএম