পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি, আন্তর্জাতিক মহলে ঝড়
চীন পাকিস্তানের সরাসরি পক্ষ; প্রক্সি নয়!

কাশ্মীর ইস্যুতে চীনের সম্পৃক্ততা নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, চীন এখন আর কেবল পাকিস্তানের পক্ষে কূটনৈতিক সহায়তাকারী নয়, বরং কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে সরাসরি জড়িত।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, জরুরি মুহূর্তে চীন শুধু পাকিস্তান রেলওয়েজ বা সামরিক সরঞ্জামে সহায়তাই করবে না, প্রয়োজনে ব্যক্তিগতভাবে সংঘর্ষে অংশগ্রহণ করতেও পিছপা হবে না। এটি আর কেবল ‘প্রক্সি ওয়ার’ নয়—এখন সরাসরি হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রেও প্রস্তুত চীন।
ভূরাজনৈতিক তাৎপর্য:
এ মন্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধবিমানের বিধ্বস্ত হওয়া, পাল্টাপাল্টি হামলা এবং সামরিক প্রস্তুতির ঘটনায় উত্তেজনা তুঙ্গে। কাশ্মীর ইস্যুতে চীনের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা প্রকাশ্যে বলা আগে দেখা যায়নি।
চীন ইতিমধ্যেই সিপিইসি (চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর) প্রকল্পের মাধ্যমে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, যাকে ভারত তার আঞ্চলিক অখণ্ডতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখে।
বিশ্লেষকদের মন্তব্য:
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি চীন সত্যিই সরাসরি সামরিক স্তরে যুক্ত হয়, তাহলে এটি কেবল দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতের অবস্থান:
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে অভ্যন্তরীণ মহলে উত্তেজনা ও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে বলে ধারণা।
কাশ্মীর ইস্যুতে চীনের প্রত্যক্ষ ভূমিকায় এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজর আরও তীব্র হবে। জাতিসংঘ ও বড় শক্তিগুলোর সামনে এটি এখন নতুন কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
সবার দেশ/কেএম