জুলাই হত্যাকাণ্ড মামলা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে প্রসিকিউশনের আপিল
জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে সাজা বৃদ্ধির বিষয়ে আপিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিলো।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। পরে সে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে প্রসিকিউশন আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি জানান, রায়ে দুটি অভিযোগের মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং অপর অভিযোগে তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। তবে একটি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় সে অংশে সাজা বাড়ানোর লক্ষ্যে আপিল করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যেই এ আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে দেশে থাকা তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া মামলার রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার নয় দিন পর ট্রাইব্যুনাল এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ফলে আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আপিল করার জন্য আগামী ৩০ দিনের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে।
সবার দেশ/কেএম




























