ডাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান ইশতেহার পাঠ করেন।
এ প্যানেলে রয়েছেন জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ।
ইশতেহারে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দফা ঘোষণা করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল সুবিধা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
১০ দফার মূল অঙ্গীকার
- শিক্ষা ও গবেষণাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক, নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য ক্যাম্পাস তৈরি।
- নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ।
- শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য বীমা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য সহজতর চলাচল।
- কারিকুলাম, অবকাঠামো ও পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন এবং গবেষণার মান উন্নয়ন।
- পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি, ব্যাটারিচালিত শাটল সার্ভিস এবং সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা।
- হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক সেবা, শিক্ষা ঋণ এবং ক্যাম্পাসভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ।
- তরুণদের গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিকল্পনা।
- ডিজিটাল সুবিধা সম্প্রসারণ, সাইবার সিকিউরিটি এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
- পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজায়ন এবং প্রাণীবান্ধব পরিবেশ।
- কার্যকর ডাকসু পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা বাড়ানো।
গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিশ্রুতি
ইশতেহারে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র সুরক্ষার মাধ্যমে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের জবাবদিহি অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য পূরণে ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি হিসেবে নিরলস কাজ করার অঙ্গীকার করেছে প্যানেলটি।
তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, একটি আধুনিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস বিনির্মাণের যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, গবেষণা, ক্যারিয়ার উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।
সবার দেশ/কেএম




























