এইচএসসি ফলাফলে ধস
৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ফেল, ২০২ প্রতিষ্ঠানে শূন্য পাস
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, আর তাতে দেখা গেছে বড় ধরনের শিক্ষাগত ধস। এবার ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ওয়েবসাইট, এসএমএস ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফল জানতে পারছেন।
পাসের হার কমে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর মোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফেল করেছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন, অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৪১ জনই অকৃতকার্য।
২০২ প্রতিষ্ঠানে একটিও পাস নেই
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ বছর সারাদেশে ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ৬৫।
তিনি বলেন, আমরা ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখেছি— কিছু অঞ্চলে মানোন্নয়ন কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি দুর্বল ছিলো। পাশাপাশি প্রশ্নপত্রের মান ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া কঠোর হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী প্রত্যাশিত ফল পায়নি।
বোর্ডভিত্তিক ফলাফল
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। তবে কিছু বোর্ডে পাসের হার ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাকালের শেখার ক্ষতি ও অনলাইন নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক শিক্ষার্থী। তাই সামগ্রিকভাবে ফলাফল হতাশাজনক।
ফল জানার উপায়
শিক্ষার্থীরা বোর্ডভেদে ফলাফল জানতে পারবেন ওয়েবসাইট [www.educationboardresults.gov.bd](http://www.educationboardresults.gov.bd) থেকে বা এসএমএসে “HSC<space>বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর<space>রোল<space>২০২৫” লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলাফল পরবর্তী ধাক্কা সামলাতে দ্রুত remedial ক্লাস ও সহায়ক কোচিংয়ের উদ্যোগ নেয়া দরকার, না হলে এ ব্যর্থতার হার আরও বাড়বে ভবিষ্যতে।
সবার দেশ/কেএম




























