তেহরান বিমানবন্দরে রহস্যময় কার্গো অবতরণে জল্পনা
ইরানে অস্ত্রভর্তি বিমান পাঠিয়েছে চীন!
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তেহরান বিমানবন্দরে চীনের একটি রহস্যজনক কার্গো বিমানের অবতরণ ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রেখে গোপনে অবতরণ করা ওই বিমানে চীন গোপনে ইরানকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও উদ্বেগ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বেইজিং থেকে আসা ওই চীনা বিমানের ট্রান্সপন্ডার আকাশে থাকতেই বন্ধ হয়ে যায়, যাতে সেটি রাডারে ধরা না পড়ে। এ ধরনের পদক্ষেপ সাধারণত সামরিক কিংবা স্পর্শকাতর মিশনের অংশ হয়ে থাকে। ফলে এটি নিছক বাণিজ্যিক কার্গো নয়, বরং এর ভেতরে সামরিক অস্ত্র বা নিষিদ্ধ প্রযুক্তি থাকতে পারে বলে অনেকেই সন্দেহ করছেন।
তেহরানে চীনা কার্গো অবতরণ এবং ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রাখাকে ইরানের প্রতি বেইজিংয়ের দৃশ্যমান সামরিক সমর্থনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। বিশেষত এমন এক সময়, যখন ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব সরাসরি যুদ্ধের রূপ নিচ্ছে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে অস্ত্র ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে।
ইতোমধ্যে ইরানকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর চীন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, তারা পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিনা উসকানিতে ইরানে চালানো হামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গভীর রাতে ইসরায়েল শুরু করে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের সামরিক হামলা, যা ইরানের বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। এরপর বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর অবস্থান দুই ভাগে স্পষ্ট হয়ে যায়— চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ বেশিরভাগ মুসলিম দেশ ইরানের প্রতি সমর্থন জানায়। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা শক্তিগুলো প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নেয়।
চীনের বিমান অবতরণের ঘটনা যদি সত্যিই গোপন অস্ত্র সহায়তার অংশ হয়ে থাকে, তবে এটি শুধু ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যে এক সম্ভাব্য পরাশক্তির সংঘাতের দিকেও ইঙ্গিত করছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।
এ মুহূর্তে বিষয়টির সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই না গেলেও, ইরান-চীন সম্পর্কের ভূ-কৌশলগত গভীরতা এবং তাদের সামরিক সহযোগিতার অতীত ইতিহাস, সন্দেহকে একেবারে অমূলক করে না। এখন পুরো বিশ্ব নজর রাখছে এ বিমানের রহস্য উদঘাটনের দিকে।
সবার দেশ/কেএম




























