মার্কিন চাপ উপেক্ষা
ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে প্রস্তুত পুতিন
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ক্রমবর্ধমান চাপ সত্ত্বেও ভারতকে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ ভাষণে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। খবর এএফপি।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম ভারত সফর। আর এ সফরেই তিনি খোলামেলাভাবে জানান, জ্বালানি খাতে রাশিয়া ভারতের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকতে চায়।
যৌথ ভাষণে পুতিন বলেন, রাশিয়া তেল, গ্যাস, কয়লা—সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা পূরণে প্রস্তুত। তার ভাষায়, দ্রুত বর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জ্বালানি নিরাপত্তাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। মস্কো ভারতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
এমন ঘোষণার পটভূমিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র অসন্তোষ। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ওয়াশিংটন আগস্টে অধিকাংশ ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ—ভারত যে রুশ তেল কিনছে, তার অর্থ যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
পুতিনের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জ্বালানি খাতে রাশিয়ার ‘অটল প্রতিশ্রুতি’র জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভারত-রাশিয়া অংশীদারত্বের মূল ভিত্তিগুলোর একটি হলো জ্বালানি নিরাপত্তা। তবে তেল আমদানির প্রসঙ্গে মোদি সরাসরি কিছু না বললেও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন।
মোদি পুতিনকে ‘আমার বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে বলেন, নয়াদিল্লি ও মস্কোর দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আগের মতোই দৃঢ়। কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, শিপিং, রাসায়নিক শিল্পসহ নানা সেক্টরে একগুচ্ছ চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জানান, দুই দেশ ২০৩০ সাল পর্যন্ত একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে একমত হয়েছে—যা ভবিষ্যৎ বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে করবে আরও বৈচিত্র্যময়, ভারসাম্যপূর্ণ ও টেকসই।
সবার দেশ/কেএম




























