সিঙ্গাপুর প্রবাসীকে ছিঁড়ে ফেলেছে ফেরির পাখা
ধলেশ্বরী নদীতে ফেরি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ জনের
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে ফেরি থেকে ট্রাকসহ পাঁচটি যানবাহন ছিটকে পড়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটা এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধারের পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসী যুবকও রয়েছেন, যার লাশ ফেরির পাখায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন—বক্তাবলী ইউনিয়নের গোপালনগরের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মাসুদ রানা (৩০), মোটরসাইকেল চালক মো. রফিক (৩৫) এবং ভ্যানচালক স্বাধীন (২৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. হাসিনুজ্জামান জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরিতে থাকা অন্য যানবাহনগুলোকে ধাক্কা দিলে সেগুলো নদীতে পড়ে যায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেল, দুটি অটোরিকশা ও একটি ভ্যানগাড়ি ট্রাকসহ তলিয়ে যায়। মোটরসাইকেল চালক রফিককে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে রাত ২টার দিকে নৌ-পুলিশের ডুবুরি দল নদী থেকে নিখোঁজ মাসুদ ও স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতদের মধ্যে মাসুদ রানার মৃত্যুটি ছিলো অত্যন্ত বিভীষিকাময়। এক মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে ছুটিতে আসা মাসুদ পুনরায় বিদেশে যাওয়ার জন্য শহরে ড্রাইভিং শিখছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ডুবুরিরা জানান, মাসুদের দেহটি ফেরির তলদেশে পাখা বা প্রপেলারের সাথে আটকে ছিলো, ফলে তার শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফেরিটি যখন মাঝনদীতে পৌঁছায় তখন একটি ট্রাকের চালক হঠাৎ ইঞ্জিন চালু করে ফেললে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা ছোট যানগুলোকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। ট্রাকচালক সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ছোট যানের চালক ও আরোহীরা নিখোঁজ হন।
বর্তমানে নদী থেকে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, চালকের অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় বক্তাবলী এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সবার দেশ/কেএম




























