হাদি হত্যার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ ও ‘লং মার্চ টু বর্ডার’
জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে, অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা ও ভারতীয় আধিপত্যের প্রতিবাদে যশোরের বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল ও ‘লং মার্চ টু বর্ডার’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বেনাপোলের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার আয়োজনে বেনাপোল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মিছিলটি বেনাপোলের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার দিকে অগ্রসর হয়। একপর্যায়ে বেনাপোল বর্ডারে পৌঁছালে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের অগ্রযাত্রা আটকে দেন। তবে বিক্ষুব্ধ জনতার চাপের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হন।
এরপর বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় গেট থেকে আনুমানিক ১০০ গজ দূরে পাকা সড়কের ওপর বসে পড়েন এবং ভারতের দিকে মুখ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ‘তুমি কে আমি কে—হাদি হাদি’, ‘আমার ভাই মরলো কেনো—প্রশাসন জবাব দে’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন চলবে না’, ‘ভারতের দাদাগিরি মানি না মানবো না’সহ নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সীমান্ত এলাকা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা শরিফ ওসমান হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন এবং এ ঘটনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। পাশাপাশি তারা সরকারের পদত্যাগের দাবিও জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন মো. নাঈমুর রহমান নাঈম, সজিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান শিপু ও আসমাতুল আল গালিবসহ ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিরা। বক্তারা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং যে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
সবার দেশ/কেএম




























