ব্যর্থ হলে পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র গ্রেফতারের নির্দেশ
নারায়ণগঞ্জে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসী চক্রের’ বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি পুলিশের কাছে স্পষ্ট করে বলেছেন—যাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকুক আর না-থাকুক, দেখামাত্র আইনের আওতায় আনতে হবে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জে একটি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে স্থানীয় ছাত্রনেতারা তার গাড়িবহর থামিয়ে সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো—জুলাই অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, ওসমান পরিবার ও স্থানীয় আওয়ামী সহযোগীদের গ্রেফতার, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং থানা ও আদালতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্রনেতাদের দাবিকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে জানান, এ দাবিগুলোর বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে হবে। ছাত্রনেতারা অভিযোগ করেন, মামলা না থাকায় পুলিশের অনেক কর্মকর্তা অভিযোগপ্রাপ্ত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করছে না।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে থাকা জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সীকে ডেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরাসরি নির্দেশ দেন—আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে মামলা আছে কি না তা বিবেচ্য নয়; তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অবহেলা করলে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে সরকার প্রস্তুত।
এ সময় তিনি ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং বলেন, হামলার মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার না হলেও তার ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তার আলোচিত মন্তব্য—‘অস্ত্র নয়, আলু-পেঁয়াজ নিয়ে প্রশ্ন’—নিয়ে ছাত্রনেতারা প্রশ্ন তুললে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দেন, বক্তব্যটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে ছিল, তাই সই ক্ষেত্রের সমস্যা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রশ্নে প্রতি সপ্তাহেই সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হচ্ছে এবং সব ইস্যু একে একে আলোচনার টেবিলে আসবে।
সবার দেশ/কেএম




























