হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রজনতার ক্ষোভপূর্ণ অবস্থান
শাহবাগ হয়ে উঠলো ‘শহীদ ওসমান হাদি চত্বর’
রাজধানীর শাহবাগ এলাকা শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে হাজারো ছাত্র-জনতার ক্ষোভে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে এ অবস্থান শুরু হয়েছে। বিকালের বিক্ষোভ সমাবেশে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম ঘোষণা দেন, এখন থেকে শাহবাগের নাম হবে ‘শহীদ ওসমান হাদি চত্বর’। এ ঘোষণায় উপস্থিত জনতা উল্লাসে মুখরিত হয় এবং শহীদ হাদির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম স্পষ্টভাবে বলেন, ওসমান হাদির খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবে না। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে এ গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অব্যাহত থাকে। অন্যদিকে, ডাকসু জিএস এস এম ফরহাদও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাদির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সকলের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘হাদির রক্ত দিয়ে দিল্লির কবর রচনা করবো’ – এ কথায় সমাবেশে উপস্থিত সকলে হাততালি দিয়ে সমর্থন জানায়।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক হিসেবে পরিচিত হাদি ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকাকালীন দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে উদ্ধার করতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনা শুধু একজন নেতার মৃত্যু নয়, বরং গণ-অভ্যুত্থানের এক বিপ্লবী চেতনার অমর হয়ে ওঠার প্রতীক। শাহবাগ চত্বরে অবস্থানকারীরা শহীদ হাদির ছবি হাতে নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন এবং তার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। এ আন্দোলন চলমান থাকবে বলে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা জানিয়েছেন, যাতে শহীদের রক্ত বৃথা না যায়। ‘শহীদ ওসমান হাদি চত্বর’ এখন শুধু একটি জায়গা নয়, বরং বিপ্লবের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সবার দেশ/কেএম




























