২৫ ডিসেম্বর ঢাকা অবতরণ
দেশে ফেরার পথে তারেক রহমান: পেয়েছেন ট্রাভেল পাস
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে একদিনেই ট্রাভেল পাস হাতে পেয়ে গেছেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে এক গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন, উনি কাল আবেদন করেছিলেন। আমার জানা মতে হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যের এক জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতাও বলেন, সব পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছে। উনি ট্রাভেল পাসও পেয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তারেকের দেশে ফেরা নিয়ে ছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। গত ২৩ নভেম্বর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার পর তিনি বলেন, এটি একক সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক দেশে ফিরছেন। এরপর দল গঠন করে অভ্যর্থনা কমিটি, যা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ঘোষণা দেয়—তারেক সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। দলটি তার স্বাগতের জন্য বড় আয়োজন করছে।
তারেক রহমানের রাজনৈতিক যাত্রা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান ২০০৭-০৮ সালের সেনা-নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হন, মায়ের মতো। মুক্তির পর পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে যান এবং দেশে আর ফেরেননি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদাকে জিয়া অরফানেজ মামলায় কারাগারে পাঠানোর দিনই বিএনপির স্থায়ী কমিটি তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানায়। গত সাত বছর লন্ডন থেকে ভিডিও কল করে দল চালিয়ে ঝড়ঝাপটা সামলিয়েছেন তিনি, যখন মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা দেশে দল টিকিয়ে রেখেছেন।
ক্ষমতা পরিবর্তনের পর মুক্তির পথ
২০২০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার খালেদাকে নির্বাহী মুক্তি দেয়, কিন্তু শর্তে বাসা-হাসপাতালে বন্দি থাকেন তিনি। ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রপতি সাজা মওকুফ করে তাকে পুরোপুরি মুক্তি দেন, উচ্চ আদালতও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। আওয়ামী লীগ আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া রায়গুলোতেও তিনি খালাস পান। এসব মিলে তার দেশে ফেরার পথ সহজ হয়।
তারেকের ফেরা বিএনপির জন্য মাইলফলক। দলের নেতৃত্ব লন্ডন থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত হবে, যা আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার প্লেন ল্যান্ড করবে বলে জানা গেছে। এ সময় রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে, তবে দল নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। তার ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম




























