সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বড় সাফল্য, তবুও রয়ে গেছে শঙ্কা
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি অর্জন করেছে—তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সাফল্য এখনও পর্যাপ্ত নয়। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উচ্চ রক্তচাপবিষয়ক দ্বিতীয় বৈশ্বিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ সাফল্য প্রশংসনীয় হলেও দেশে এখনও প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
এ প্রেক্ষাপটে রাজধানীর বিএমএ ভবনে রোববার (২৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালা। প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত এ কর্মশালায় সহযোগিতা করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার ২৩ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ এখন দেশের অন্যতম গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা অকাল মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। তারা জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে বড় অগ্রগতি সম্ভব। তবে এজন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যখাতে ধারাবাহিক বিনিয়োগ ও অবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,
উচ্চ রক্তচাপসহ অন্যান্য অসংক্রামক রোগের ওষুধ বিতরণে আমরা এখনও কিছু বাজেট ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হচ্ছি। আশা করি, খুব শিগগিরই আমরা এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো।
এ সময় এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. রিয়াদ আরেফিন বলেন, আমরা সর্বদা চেষ্টা করছি প্রান্তিক পর্যায়ে এনসিডি কর্নার ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সময়মতো উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ পৌঁছে দিতে। এটি আমরা অব্যাহত রাখবো।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমদ, জিএইচএআই বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা দেন প্রজ্ঞার কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
বক্তারা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ যে সফলতার পথে এগোচ্ছে তা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক, তবে এখনই থেমে গেলে বিপদ বাড়বে। দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ এবং সচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার না করলে এ অর্জন স্থায়ী হবে না।
সবার দেশ/কেএম




























