Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ১৪ মে ২০২৫

প্রতিবাদে সড়কে বসে পড়লেন প্রক্টর ও শিক্ষকরা

জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চে টিয়ারশেল

জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চে টিয়ারশেল
ছবি: সংগৃহীত

আবাসন ভাতা ও পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনের দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনাটি ঘটে আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়।

হঠাৎ হামলার মুখে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন লংমার্চে অংশ নেয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে কাকরাইল সড়কের মাঝখানে বসে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছউদ্দীন। তাদের এ প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের মধ্যেও প্রতিবাদে নতুন জোয়ার তোলে।

কী ছিল দাবিগুলো?

লংমার্চের মূল দাবিগুলো হলো:

  • আবাসন ভাতা নিশ্চিত করা
  • প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন
  • বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা

এ দাবিগুলো নিয়ে গতকাল (১৩ মে) জবি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) গেলেও আশানুরূপ প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সেখান থেকে ফিরে তারা ঘোষণা দেন, যথেষ্ট হয়েছে, এবার আমরা যমুনার (প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন) দরজায় যাবো।

কারা এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন?

‘জুলাই ঐক্য’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয় রয়েছে—তারা এ কর্মসূচির আয়োজক। সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হতে শুরু করেন, এবং ১১টা ৪০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রা শুরু হয়।

কেন এ ক্ষোভ?

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে নামমাত্র বাজেট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। আবাসন, গবেষণা, ক্লাসরুম, স্বাস্থ্যসেবা—সবকিছুর ঘাটতি। অথচ আমরা টিউশন ফি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর দায় নিতে পারি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করছে ন্যায্য অধিকার নিয়ে। এর জবাবে যদি টিয়ারগ্যাস হয়—তাহলে প্রশ্ন তো উঠবেই, এ রাষ্ট্র কার?

কী বলছে প্রশাসন?

পুলিশ দাবি করছে, লংমার্চকারীরা নিরাপত্তা ব্যূহ ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো এবং ট্রাফিক বিঘ্নিত হচ্ছিলো—তাই ‘হালকা লাঠিচার্জ ও কনট্রোল অ্যাকশন’ নেয়া হয়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।

সবার দেশ/কেএম