Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১৪ মে ২০২৫

আপডেট: ১৭:৪৭, ১৪ মে ২০২৫

সিঁদুর মুছে আমাদের বোন-মেয়েদের অসম্মান করেছে জঙ্গিরা

কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বললেন বিজেপি মন্ত্রী

কর্নেল সোফিয়াকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, বিতর্কে বিজেপি মন্ত্রী বিজয় শাহ। তিনি বলেন, পেহেলগামে জঙ্গিরা ধর্ম জানতে জামাকাপড় খুলে পরীক্ষা করেছে, গুলি করে হত্যা করেছে। মোদি তো নিজে যুদ্ধ করতে পারবেন না, তাই জঙ্গিদের বোনকে পাঠিয়েছেন শিক্ষা দিতে।

কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বললেন বিজেপি মন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সেনা কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা বিজয় শাহ। কর্নেল সোফিয়া ছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অন্যতম নেতৃত্বদানকারী মুখ। সে সাহসী সেনা কর্মকর্তাকে নিয়েই বিজয় শাহ বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

১৪ মে (বুধবার) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মে (সোমবার) ইন্দোরে এক জনসভায় বিজয় শাহ বলেন,সিঁদুর মুছে আমাদের বোন-মেয়েদের অসম্মান করেছে জঙ্গিরা। আমরা পালটা জবাব দেয়ার জন্য তাদের বোনকেই পাঠিয়েছি।

 

 

তিনি আরও বলেন, পেহেলগামে জঙ্গিরা ধর্ম জানতে জামাকাপড় খুলে পরীক্ষা করেছে, তারপর গুলি করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তো নিজে যুদ্ধ করতে পারবেন না, তাই জঙ্গিদের সম্প্রদায়েরই বোনকে পাঠিয়েছেন শিক্ষা দিতে।

বিজয় শাহের এ বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। যদিও তিনি ভিডিওতে কারও নাম উল্লেখ করেননি, তবে কংগ্রেসের দাবি, তিনি কর্নেল সোফিয়াকেই ইঙ্গিত করেছেন।

বিজয় শাহের এ বক্তব্যকে ‘ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক’ বলে নিন্দা জানিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল এক বিবৃতিতে বলেছে, একজন সাহসী সেনা কর্মকর্তাকে ধর্মের কারণে অপমান করা দেশের জন্য লজ্জাজনক। তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করা হোক।

কংগ্রেস বলেছে, কর্নেল সোফিয়া শুধু একজন সেনা কর্মকর্তা নন, তিনি দেশের গর্ব। তার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য সেনাবাহিনীকেই অপমান করা।

তবে বিজয় শাহ দাবি করেছেন, তার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পেহেলগামে কথিত জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানে অভিযান চালায় ভারত। এ অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’। এতে পাকিস্তানের অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়। পরে পাকিস্তানও পাল্টা ‘বুনইয়ান-উন মারসুস’ নামের অভিযান চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

এ প্রেক্ষাপটে কর্নেল সোফিয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক বিতর্ক শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষকেই উসকে দিচ্ছে না, বরং প্রশ্ন তুলছে—যুদ্ধের নেপথ্য বীরদের সম্মান নিয়েও।

ওই যুদ্ধ চলে টানা ৮৭ ঘণ্টা। উভয় পক্ষই নিজেদের বিজয় দাবি করে আসছে।

সবার দেশ/কেএম