Header Advertisement

Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:১৩, ১৭ মে ২০২৫

হাসিমুখে ফিরলেন প্রিয় ক্যাম্পাসে

জবি শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিভেজা বিজয়োল্লাস

জবি শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিভেজা বিজয়োল্লাস
ছবি: সংগৃহীত

চার দফা দাবি পূরণের ঘোষণা আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা নামতেই নামে একটানা বৃষ্টি। সে বৃষ্টিতে ভিজেই বিজয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিজয়ের হাসি মুখে ফিরেন তারা নিজেদের প্রিয় প্রাঙ্গণে। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ঘোষণা দেন, শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিই মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রথম দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন বাজেট বাড়ানো হবে। পাশাপাশি, আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

আন্দোলনে বিজয়ের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, আমরা সফল হয়েছি। চারটি দাবির সবগুলোই মানা হয়েছে। আমরা বলি—লেটার মার্ক পেয়ে পাশ করেছি। বাজেট পুরোপুরি না বাড়লেও অনেকখানি অর্জন হয়েছে। এটা ১০/২০ নয়, অন্তত ১৯/২০ বলা যায়। সময় দিতে হবে, বাস্তবায়নের জন্য তো একেকটা ধাপে রেজুলেশন লাগবে।

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন, আমাদের ৯০ শতাংশ দাবি পূরণ হয়েছে বলা যায়। আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও আনন্দিত। কারণ, একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফীন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনের মধ্যে এ অর্জন অভূতপূর্ব। আমরা একটি মাইলফলক স্থাপন করেছি।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদ বলেন, টানা তিনদিনের লড়াইয়ের পর আজ বিজয় এসেছে। তাই এ আনন্দটাও একটু বিশেষ। আমরা সবাই মিলে ধুমধাম করে উদযাপন করবো।

আরেক শিক্ষার্থী মাহফুজ হোসেন বলেন, এ দাবি আদায় সহজ ছিলো না। তাই এ বিজয়ের আনন্দও বহুগুণ। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই—এ আনন্দে সবাই অংশ নিন।

শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও উচ্চপ্রশংসা উঠে এসেছে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, এ শিক্ষার্থীরা আমাদের সময়ের জাতীয় বীর। তারা যেভাবে যুক্তি দিয়ে আন্দোলন চালিয়েছে, তা একটি জাতীয় উদাহরণ। আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দাবি তুলে ধরেছি। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও অর্থ, শিক্ষা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ ইউজিসির সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে আমরা স্পষ্ট করে দেখাতে পেরেছি, জবির সমস্যা অন্যদের থেকে আলাদা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সবগুলো দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। আমরা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং চাই এ অগ্রগতি যেন অব্যাহত থাকে।

সবার দেশ/কেএম