ডোপ টেস্ট বিহীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ‘মাদকের আখড়া’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছে। ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করলেও ইবিতে এখনো কার্যকর হয়নি এ ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একাংশ ধীরে ধীরে মাদকের জালে জড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও কঠোর পদক্ষেপের অভাবে মাদকের বিস্তার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে সচেতন শিক্ষার্থীরা।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আতিফ মো. রাহিব বলেন, প্রায়ই মাদক সংক্রান্ত কারণে ইবি খবরের শিরোনামে আসে। অনেককে সেফ হাউজে পাঠাতেও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত রাখতে হলে ডোপ টেস্ট চালু করার বিকল্প নেই।
বর্তমানে দেশের বেশ কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলেও ইবিতে এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা নেই। ফলে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ডোপ টেস্টের সুপারিশ সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে ক্যাম্পাসে মাদক সেবন, ব্যবসা বা লেনদেন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত। কাউকে ধরতে পারলে প্রচলিত আইনে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুস্পষ্ট পদক্ষেপ ও দায়িত্বশীল মনোভাব ছাড়া মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা যে কঠিন—তা একাধিক ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। এখন সময়, ডোপ টেস্ট চালুর মতো কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের।
সবার দেশ/কেএম