প্রধানমন্ত্রী পদ হারানোর পর পার্টির নেতৃত্বও ছাড়লেন পায়োংটার্ন
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের পর এবার নিজের দল ফিউ থাই পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ালেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত পায়োংটার্নকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণ করে। তার নেতৃত্বে ফিউ থাই পার্টি গত বছর নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল, কিন্তু আদালতের রায়ে দলটি হঠাৎই নেতৃত্ব সংকটে পড়ে।
পায়োংটার্ন বলেন, আমি মনে করি, দলের এখন পুনর্গঠনের সময় এসেছে। আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে ফিউ থাই নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে—একটি শক্তিশালী ও আধুনিক সংগঠন হিসেবে।
তিনি আরও বলেন,
দলকে সংস্কারের জন্য স্বাধীনতা দিতে হবে। এজন্যই আমি নেতৃত্ব ছাড়ছি। এ পরিবর্তন আর বিলম্ব করা উচিত নয়।
যদিও তিনি দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ছেন, তবুও ফিউ থাই পরিবারের প্রধান ও সক্রিয় সদস্য হিসেবে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন বলে জানান পায়োংটার্ন। তার ভাষায়,
ফিউ থাই এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে। আমি দলের পাশে থেকে সেই রূপান্তরে সহায়তা করবো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার এ পদত্যাগ পরিবারতন্ত্রের প্রভাব কমিয়ে দলটিকে আরও গণতান্ত্রিক কাঠামোয় রূপান্তরের পথ খুলে দিতে পারে।
থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবার দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী। পায়োংটার্ন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঠাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা। ঠাকসিনের রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে তিনি ২০২৩ সালের নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেন এবং তীব্র সামরিক-বেসামরিক টানাপোড়েনের মধ্যেও জয় নিশ্চিত করেন।
তবে আদালতের সাম্প্রতিক রায় এবং তার পদত্যাগে থাই রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
সবার দেশ/কেএম




























