গুজব না ছড়ানোর আহ্বান ডা. জাহিদ হোসেনের
‘খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন’
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলমান নানা জল্পনা–কল্পনার মধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি জানান, বেগম জিয়া এখনও আইসিইউতে চিকিৎসকদের দেয়া থেরাপি ও ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করতে সক্ষম, এবং চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে সামনে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়া সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউতে আছেন। সংকটাপন্ন রোগীর জন্য যেসব চিকিৎসা জরুরি, মেডিকেল টিম সে সব চিকিৎসাই দিচ্ছে, এবং তিনি সাড়া দিচ্ছেন।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তাকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রয়োজন দেখা দিলে যেকোনও সময় তাকে বিদেশে স্থানান্তর করা হতে পারে।
ডা. জাহিদ আরও বলেন, ম্যাডাম একজন গুরুতর অসুস্থ রোগী। তার সব তথ্য প্রকাশ্যে বলা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও সতর্কতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত আবেগ থেকে গুজব ছড়ানো বন্ধ করার আহ্বান জানান।
চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডে দেশের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও যুক্ত আছেন। এজন্য বোর্ড মিটিংগুলো সাধারণত রাতেই হয়। তিনি আরও জানান, বিএনপির সিনিয়র নেতা এবং চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসা কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন।
বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, ফুসফুসজনিত সমস্যা ও চোখের রোগসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর তিনি কারামুক্ত হন। এর পর ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং ১১৭ দিন অবস্থান শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন।
গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করলে তার শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে যায়। এরপর থেকেই তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন বলে দলীয় নেতারা জানিয়ে আসছেন।
সবার দেশ/কেএম




























