স্মরণ করলেন ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ দেশনেত্রীকে
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জুলাই যোদ্ধাদের প্রার্থনা
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রনেতারা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর, রাজনৈতিক সহাবস্থান ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করে তারা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট, বিবৃতি এবং দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জুলাই আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এবং বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম ফেসবুকে লিখেছেন,
বেগম খালেদা জিয়া ‘গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক’, যার উপস্থিতি দেশের চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্র আন্দোলন নেতা মো. নাহিদ ইসলাম এক দোয়া মাহফিলে বলেন,
বাংলাদেশের গণতন্ত্রে খালেদা জিয়ার অবদান চিরস্মরণীয়। আমরা আশা করি তিনি আরও দীর্ঘ সময় আমাদের মাঝে থাকবেন।
এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলেও স্থিতিশীল। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে দেশবাসীর প্রার্থনাই তাঁর সবচেয়ে বড় সহায়।
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন।
২৯ নভেম্বর ডা. তাসনিম জারা দেশবাসীকে রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করতে আহ্বান জানান। তিনি তার সাহস ও প্রতিকূলতায় দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেন।
জুলাই আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের উল্লেখ করেন, বেগম জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকা ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর পথচলায়ও গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারাও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সহ-সভাপতি আবু সাদিক কায়েম লিখেছেন, রাজনৈতিক সহাবস্থান ও জাতীয় স্থিতিশীলতার জন্য তার উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজন।
ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ খালেদা জিয়ার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবন, গৃহিণী থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠা, কর্তৃত্ববাদ মোকাবিলায় তার ভূমিকা এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চিত্র স্মরণ করেন।
ছাত্রনেতারা একমত পোষণ করেছেন—খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য তার লড়াই এবং মতাদর্শিক বিভাজন পেরিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণে এখনো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
সবার দেশ/কেএম




























