এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার জন্য নেতাকর্মীদের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে দিশেহারা অনেকেই রাতের ভরসা না করে সকালে ছুটে আসেন হাসপাতালে। তাদের উপস্থিতির কারণে পুরো এলাকা জুড়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল নয়টার দিকে কয়েকজন নেতাকর্মী হাসপাতালে সামনে এসে জড়ো হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। হাসপাতালের সামনের সড়কে নিরাপত্তা ব্যারিকেড বসিয়ে চলাচল সীমিত করে পুলিশ। গতকাল যেখানে কোনো ব্যারিকেড ছিল না, আজ সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, যে কোনো আকস্মিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।
ভিড় জমাতে থাকা নেতাকর্মীরা জানাচ্ছেন, তারা জানেন যে খালেদা জিয়াকে দেখার সুযোগ নেই। তবুও অন্তরের টান তাদের হাসপাতালে টেনে এনেছে। তারা অন্তত এসে দোয়া করতে চান এবং দূর থেকে হলেও তার অবস্থার খোঁজ নিতে চান।
বরিশালের উজিরপুর থেকে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, দেখতে পাব না জেনেও এসেছি। মনটা হালকা লাগবে ভেবে। ছোটবেলা থেকেই তার প্রতি শ্রদ্ধা। কোনো পদ-পদবি নেই, চাইওনি কখনো। খালেদা জিয়াকে আমি মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি।
উত্তরা থেকে আসা বিএনপি নেত্রী সোহেলী পারভিন শিখা জানান, এতদিন আসিনি কারণ নিয়মিত খোঁজ পাওয়া যেত। কিন্তু গতকাল থেকে হঠাৎ কোনো তথ্য না মেলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তাই ছুটে এসেছি।
গত ১০ দিন ধরে এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের ভেতরে টানটান উত্তেজনা ও বাইরে নেতাকর্মীদের উদ্বেগ–উৎকণ্ঠার মিশ্র আবহ—সব মিলিয়ে পুরো এলাকা এখন জাতীয় রাজনীতির এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সবার দেশ/এফও




























