Sobar Desh | সবার দেশ সবার দেশ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:০৩, ১৭ জুন ২০২৫

আপডেট: ০১:০৫, ১৭ জুন ২০২৫

গণমাধ্যম এখনও ফ্যাসিবাদ শক্তির কবল থেকে মুক্ত নয়: তারেক রহমান

গণমাধ্যম এখনও ফ্যাসিবাদ শক্তির কবল থেকে মুক্ত নয়: তারেক রহমান
ফাইল ছবি

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিগত ৫ আগস্টের ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর কিছুটা স্বাধীনতা মিললেও গণমাধ্যম এখনও চূড়ান্তভাবে মুক্ত নয়।

গতকাল সোমবার (১৬ জুন) ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ কালো দিন। এ দিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে। বন্ধ করে দেয়া হয় অধিকাংশ সংবাদপত্র, মাত্র চারটি সরকার অনুগত পত্রিকা ছাড়া বাকিগুলো নিষিদ্ধ করা হয়। এতে অসংখ্য সাংবাদিক বেকার হয়ে পড়েন, তাদের পরিবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিলো ভৌগলিক স্বাধীনতা অর্জনের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। যেখানে নাগরিকের বাক, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলে রাষ্ট্র জবাবদিহিমূলক হয় এবং জনইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দেয়। এর বিপরীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকস্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ মানে মানুষের চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা। শেখ মুজিবুর রহমানের পথ অনুসরণ করে তার কন্যা শেখ হাসিনা আবারও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। নানা কালাকানুন ও ভয়ংকর আইন করে সাংবাদিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সত্য প্রকাশকারীদের ওপর চালানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন।

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে, মামলা দিয়ে এবং হয়রানি করে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিলো, যেখানে সত্য বলা ছিলো অপরাধ। এখনও সে সংস্কৃতি পুরোপুরি দূর হয়নি। গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদ শক্তির প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি।

বিবৃতিতে তিনি আশা প্রকাশ করেন, গণমাধ্যমের সত্য উচ্চারণের সাহস ফিরিয়ে আনার লড়াই অব্যাহত থাকবে, এবং একদিন বাংলাদেশে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক পরিবেশে সংবাদপত্র স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।

সবার দেশ/কেএম

শীর্ষ সংবাদ:

পাঁচ অস্ত্রসহ গ্রেফতার লিটন গাজী সম্পর্কে সব জানালো পুলিশ সুপার
আনসার ভিডিপি ব্যাংকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবস্থাপক গ্রেফতার
লালমনিরহাটে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিকের যাবজ্জীবন
ভোলাহাটে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু
সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দালাল চক্রের খপ্পরে
বাংলাদেশ সীমান্তে পঁচছে ৩০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ
সুদের টাকার জন্য নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার-১
ইমরান খান বেঁচে আছেন, দেশ ছাড়তে চাপ: পিটিআই
হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের প্লট দুর্নীতি মামলার রায় আজ
শুরু হলো বিজয়ের মাস
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত
খালেদা জিয়ার খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াত সেক্রেটারি
স্কুল ভর্তির লটারি ১১ ডিসেম্বর
বিডিআরকে দুর্বল করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখাতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড
ছয় উপসচিবের দফতর পরিবর্তন