প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষে বললেই গ্রেফতার

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রাক্কালে দলটির পক্ষে প্রকাশ্যে বা অনলাইনে সমর্থন জানালেই গ্রেফতার করা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সরকারের নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর ফেসবুক, ইউটিউব বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে দলটির পক্ষে পোস্ট, মন্তব্য বা ভিডিও দিলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
রোববার (১১ মে) একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, নিষিদ্ধ ঘোষণার ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে আর কোনো আইনি জটিলতা থাকছে না।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না। মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা স্পষ্টভাবে পাঠানো হয়েছে।
এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দলটির পক্ষে কোনও মিছিল, সভা বা গোপন বৈঠকের খবর পেলেই সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় দলটির পক্ষে যেকোনও মন্তব্য, পোস্ট বা ভিডিও শেয়ার করলেও গ্রেফতার করা হবে।
সাইবার অপরাধ দমন শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, বিদেশে বসেও কেউ যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালায়, দেশে ফিরলেই তাকে সাইবার সিকিউরিটি আইনে গ্রেফতার করা হবে।
সাবেক আইজিপি নূরুল হুদা বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে এখন পুলিশের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারি আদেশ অমান্য করলে পেনাল কোডের ১৮৮ ধারায় ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও এ আইনের আওতায় পড়বে।
এদিকে, অনলাইনেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার নির্দেশনাও আসছে বলে জানিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. আসিফ নজরুল। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, বিটিআরসি মেটা ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চিঠি দেবে। ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজসহ সব অনলাইন কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে।
এ পটভূমিতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে অনলাইন-অফলাইন উভয় স্তরেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার কঠোর নজরদারির পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম