বিএনপিতে তীব্র উত্তেজনা–উচ্ছ্বাস
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বহুল আলোচিত প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ অবশেষে ঘোষণা করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে পা রাখবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তার এ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। উনি দেশে ফিরলে গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যে সব বাধা ছিলো, সেগুলো দূর হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এটি শুধু দলের নয়, গোটা জাতির জন্য আনন্দের খবর।
দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস–ফেরার শেষ অধ্যায়
২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য জামিনে লন্ডনে যান তারেক রহমান। সেখানেই কাটে তার দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন-জীবন। এ সময় তিনি বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন, যদিও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার বেশ কয়েকটি মামলার রায় বাতিল হয় এবং কিছুতে আইনি প্রক্রিয়ায় অব্যাহতি পান।
এর পর থেকেই তার দেশে ফেরার আলোচনা জোরালো হয়ে উঠলেও কোনও নেতা এতদিন সুনির্দিষ্ট তারিখ জানাননি।
মায়ের সংকটে দেশে ফেরা—কিন্তু নিয়ন্ত্রণ ছিলো না তার হাতে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠলে তারেক রহমানের হঠাৎ দেশে ফেরার জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তখন তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন—
এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমারও আছে। কিন্তু এটা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ পুরোপুরি আমার নিয়ন্ত্রণে নয়।
তার এ বক্তব্য আরও রহস্য, আরও জল্পনা তৈরি করে।
সরকারের অবস্থান: কোনও বাধা নেই
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বারবার জানানো হয়েছে—তারেক রহমানের দেশে ফেরায় সরকারের কোনও বাধা নেই। ফলে প্রত্যাবর্তনের পথ আরও পরিষ্কার হয়।
বিএনপি শিবিরে উৎসবমুখর প্রস্তুতি
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরা বিএনপির রাজনীতিতে ‘বড় মোড়’ তৈরি করবে বলে মনে করছেন দলীয় নেতারা। তারা বলছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন শুধু সাংগঠনিক উদ্দীপনা নয়, জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।
সবার দেশ/কেএম




























