উস্কানিমূলক পোস্টের অভিযোগ
ইলিয়াসের ২২ লাখ ফলোয়ারের ফেসবুক পেজ সরিয়ে নিলো মেটা
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসেনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি সরিয়ে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। প্রায় ২২ লাখ ফলোয়ারের এ পেজটি শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রেক্ষাপট হিসেবে উঠে এসেছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়, ফার্মগেটে দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়, ধানমন্ডিতে ছায়ানট সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ভারতীয় দূতাবাস বা সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক পেজ থেকে একাধিক পোস্ট দেন, যেগুলোকে উস্কানিমূলক বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, এসব পোস্ট সহিংসতাকে আরও উত্তেজিত করতে ভূমিকা রেখেছে। এর পরপরই শুক্রবার রাতে তার পেজটি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে না।
মেটার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হয়নি। তবে ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, সহিংসতা উসকে দেয়া, ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার বা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কনটেন্টের ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট বা পেজ সাসপেন্ড বা সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এ ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে মনে করছেন, আবার অনেকে বলছেন, উস্কানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে মেটার এমন পদক্ষেপ যথাযথ। ইলিয়াস হোসেনের সমর্থকরা তার পেজ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে সরব থাকেন। তার পেজটি ছিলো তার মতামত প্রচারের প্রধান মাধ্যম। এখন পেজ সরিয়ে নেয়ার পর তার ভক্ত ও অনুসারীরা অন্য প্ল্যাটফর্মে তার বিকল্প অ্যাকাউন্ট খুঁজছেন।
সবার দেশ/কেএম




























