হাদির মৃত্যুতে উত্তাল দেশ
বিএনপির সব কর্মসূচি স্থগিত, রাতে জরুরি বৈঠক
দেশের চলমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উদ্ভূত জরুরি অবস্থা এবং জননিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পূর্বনির্ধারিত সকল দলীয় কর্মসূচি স্থগিত করেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে দলের দায়িত্বশীল সূত্র এ ঘোষণা নিশ্চিত করেছে। এ সিদ্ধান্তের পেছনে দলীয় কৌশলগত বিবেচনা এবং বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
স্থগিত কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সেচ ভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি পূর্বঘোষিত অনুষ্ঠান। এছাড়া বিকেল ৪টায় কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনের সামনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নির্ধারিত কর্মসূচিও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্ত দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
রাত সাড়ে ৮টায় তারেক রহমানের ভার্চুয়াল সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক
কর্মসূচি স্থগিতের পাশাপাশি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম 'স্থায়ী কমিটির' জরুরি বৈঠক আহূত হয়েছে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সাম্প্রতিককালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা, সহিংসতা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রেক্ষাপটে এ বৈঠককে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মূল্যায়ন করছেন। দলীয় সূত্রমতে, বৈঠকে আলোচিত হবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা, পরবর্তী রাজনৈতিক কৌশল এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। জনগণের জানমাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপির ভূমিকা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
বিশেষ করে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক কঠোর বার্তা আসবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আনুষ্ঠানিক অবস্থান পরিষ্কার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম




























