কংগ্রেসে বিল জমা
এইচ-১বি ভিসা পুরোপুরি বাতিলে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন তৎপরতা
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি দক্ষ কর্মী আনার সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ‘এইচ-১বি ভিসা’ পুরোপুরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভিসা ফি শতগুণ বাড়ানোর পর এবার সরাসরি এ ভিসা কর্মসূচি বন্ধে বিল জমা দেয়া হয়েছে কংগ্রেসে। কট্টর ডানপন্থি ও অভিবাসনবিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত রিপাবলিকান প্রতিনিধি মার্জোরি টেইলর গ্রিন গত বৃহস্পতিবার এ বিল উত্থাপন করেন।
বিল জমা দেয়ার আগে এক্সে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় গ্রিন দাবি করেন, এইচ-১বি কর্মসূচি বহু বছর ধরে ‘প্রতারণা ও অপব্যবহারের’ মাধ্যমে মার্কিন শ্রমবাজারে আমেরিকান নাগরিকদের ‘বঞ্চিত’ করেছে। তার অভিযোগ, বড় টেক কোম্পানি ও হাসপাতালগুলো সস্তা শ্রম পাওয়ার জন্য বিদেশি কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়েছে, ফলে আমেরিকানরা চাকরি হারিয়েছে বা সুযোগ পাচ্ছেন না।
গ্রিন বলেন, বিলটি পাস হলে বিজ্ঞান–প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশলসহ সেক্টরগুলোতে মার্কিন নাগরিকদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে ‘বিদেশি মেধার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা কমাতে’ এইচ-১বি কর্মসূচি বাতিল করাই এখন জরুরি।
২০০৪ সালে চালু হওয়া এইচ-১বি ভিসার আওতায় প্রতি বছর ৮৫ হাজার বিদেশি বিশেষজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পান। অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা ও অ্যাপল—সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো এ ভিসার সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী। ভারত বছরের পর বছর এ কর্মসূচির সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী দেশ।
এর আগেই ট্রাম্প প্রশাসন এ ভিসার বার্ষিক ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে একলাফে ১ লাখ ডলার নির্ধারণ করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
তবে নতুন বিলে বিদেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সীমিত ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১০ হাজার জনকে নেয়া যাবে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন না।
বিলটি পাস হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি শিল্প, স্বাস্থ্যখাত এবং বৈশ্বিক মেধা-নির্ভর চাকরির বাজারে বড় পরিবর্তন দেখা দিতে পারে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।
সূত্র: এএফপি
সবার দেশ/কেএম




























