সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ব্ল্যাকআউট রাজস্থান-পাঞ্জাব
পাকিস্তানের মিসাইল বৃষ্টিতে কাঁপলো ভারত

ভারতের উপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতভর সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বেজেছে বিস্ফোরণের শব্দ, বেজেছে বিমান হামলার সাইরেন। পাকিস্তানি মিসাইল ও ড্রোনের হামলার পর রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীরসহ একাধিক রাজ্যে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করেছে ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, রাত আটটার পর থেকে জয়সলমীর ও পাঠানকোটসহ সীমান্তবর্তী শহরগুলিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। শহর জুড়ে ছুটে বেড়ায় আতঙ্কিত মানুষ, রাস্তায় নামে সেনা-পুলিশ।
পাকিস্তানি হামলার টার্গেটে সামরিক ঘাঁটি
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একযোগে অন্তত ১৫টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। জম্মু বিমানবন্দর, আরএস পুরা, সাম্বা, বারামুলা, পাঠানকোট – সর্বত্র সক্রিয় করা হয় এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয় জম্মু শহরে।
পাল্টা হামলায় ভারতের জবাব
পাকিস্তানের হামলার জবাবে ভারতও আঘাত হানে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের যুদ্ধবিমান লাহোরসহ একাধিক শহরে পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়। টার্গেট করা হয় পাকিস্তানি রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোকে।
সাইরেন-আতঙ্ক আর আঁধার
চণ্ডীগড়, লুধিয়ানা, অমৃতসর – একে একে সব শহরে জারি হয় ব্ল্যাকআউট। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের ডেপুটি কমিশনার আশিকা জৈন বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর নির্দেশে শহর অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের সীমান্তঘেঁষা জেলা—সবখানেই একই চিত্র। রাতভর বিস্ফোরণ আর ভয়ে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়।
তীব্র উত্তেজনা, সেনা হাই-অ্যালার্টে
উভয় দেশের পক্ষ থেকেই ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। দুই দেশেই সামরিক বাহিনী হাই-অ্যালার্টে রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের বালাকোট-পরবর্তী পরিস্থিতির চেয়েও এবার সংঘাত অনেক বিস্তৃত ও বিপজ্জনক। যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্বশক্তিগুলোর দ্রুত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ জরুরি।
সবার দেশ/কেএম