পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনার নতুন মোড়
পাকিস্তানের হামলায় সীমান্তে ৪০-৫০ ভারতীয় সৈন্য নিহত

পাকিস্তান বৃহস্পতিবার (৮ মে ২০২৫) দাবি করেছে, বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control - LoC) বরাবর ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ৪০ থেকে ৫০ জন সৈন্যকে হত্যা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার জাতীয় পরিষদে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেৎয়া ভাষণে এ দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলো উড়িয়ে দিয়েছে। তবে, ভারত এ দাবির বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
এ দাবি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা তুঙ্গে। গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পাহালগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন, যার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে 'কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স' নামে একটি সংগঠন, যাকে ভারত লশকর-ই-তৈয়বা (LeT) এর একটি শাখা বলে দাবি করে। পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৬০ সালের ইন্ডাস জলচুক্তি স্থগিত করা, সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা, এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল। পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে।
৭ মে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে 'অপারেশন সিন্দুর' নামে সামরিক হামলা চালায়, যেখানে তারা ৯টি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে বলে দাবি করে। ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেন, এ হামলায় প্রায় ১০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, এ হামলায় ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তান পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করে, যার ফলে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সৈন্য নিহত হয়। ভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তান মর্টার এবং ভারী কামান ব্যবহার করছে। এছাড়া, পাকিস্তান দাবি করেছে তারা ইসরায়েল-নির্মিত ২৫টি ভারতীয় কামিকাজে ড্রোন এবং পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে তিনটি ফ্রান্স-নির্মিত রাফায়েল, ভূপাতিত করেছে। ভারত এ দাবি অস্বীকার করেছে এবং বলেছে তারা ১৫টি পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।
সবার দেশ/কেএম