যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে ৭.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তবর্তী পার্বত্য অঞ্চলে ভয়াবহ ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আলাস্কার জুনো শহর থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমে এবং কানাডার ইউকনের হোয়াইটহর্স থেকে ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে এ ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। তবে এত শক্তিশালী কম্পন সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে—সুনামির কোনো আশঙ্কাও নেই।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিলো মাটির প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের পরপরই কয়েকটি ছোট আফটারশক অনুভূত হয়েছে। ফলে পাহাড়ি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও বড় ধরনের ক্ষতির প্রমাণ এখনও মেলেনি।
রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সার্জেন্ট ক্যালিস্টা ম্যাকলিওড জানান, হোয়াইটহর্স শহর থেকে ভূমিকম্প নিয়ে দুটি ৯১১ কল পেয়েছেন তারা। তিনি বলেন, এটি বেশ শক্তিশালীভাবে অনুভূত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও অনেকে জানিয়েছেন যে তাদের ঘর কেঁপে ওঠে।
কানাডার ন্যাচারাল রিসোর্সেসের ভূকম্পবিদ অ্যালিসন বার্ড জানান, ইউকনের যে এলাকা সবচেয়ে বেশি কেঁপেছে—সেটি অত্যন্ত দুর্গম ও জনবসতি কম। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, ঘরের তাক বা দেয়াল থেকে জিনিস পড়ে গেছে, কিন্তু কোনো কাঠামোগত ক্ষতির নিশ্চিত তথ্য নেই।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের সবচেয়ে নিকটবর্তী অঞ্চল কানাডার হেইन्स জংশন, যা প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০২২ সালের হিসাবে এলাকার জনসংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ১৮ জন। উপকেন্দ্র থেকে আলাস্কার ইয়াকুটাট শহরের দূরত্বও মাত্র ৯১ কিলোমিটার, যেখানে বাস করে ৬৬২ জন।
পাহাড়ি, তুষার–ঢাকা বিস্তীর্ণ এ সীমান্ত অঞ্চলে বড় ভূমিকম্প অস্বাভাবিক নয়, তবে জনবসতি কম থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তুলনামূলক কম। তবুও কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সবার দেশ/কেএম




























