আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ বিএনপির দাবির প্রতিফলন: মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে ‘সঠিক ও সময়োচিত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১১ মে) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত ‘বিলম্বিত হলেও স্বাগতযোগ্য’, কারণ এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে নির্বিঘ্ন করার পথ প্রশস্ত করবে।
মির্জা ফখরুল জানান, গতরাতে অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দীর্ঘদিনের জনগণের আন্দোলন ও বিএনপির দাবির প্রতি প্রতিফলন। তিনি বলেন, আমরা আনন্দিত যে, অবশেষে সরকার সে স্বৈরাচারী দলের কার্যক্রম বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে, যারা গুম, খুন, দমন-পীড়ন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলো।
তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ও ১৬ এপ্রিল বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আনার’ সুস্পষ্ট দাবি জানিয়েছিলো। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, এটি আইনি প্রক্রিয়াতেই করা সম্ভব। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা দায়িত্বশীলতা আশা করি, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক অপরাধ দলীয় পরিচয়ে আড়াল না পায়।
তবে তিনি এ-ও উল্লেখ করেন, আগেই এ সিদ্ধান্ত নিলে সরকারকে এখনকার মতো ‘চাপের মুখে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে’ পড়তে হতো না। সরকার যেন ভবিষ্যতে সময়োচিত পদক্ষেপ নিতে ‘সতর্কতা’ বজায় রাখে— এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে ‘ফ্যাসিবাদী জঞ্জাল পরিষ্কার’ করা এখন সময়ের দাবি। মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জনগণ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। সে লড়াই এখনও অসম্পূর্ণ। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এখনও জাতিকে দেখানো হয়নি।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনমনে যে গভীর ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা জমেছে, তা দূর করতে হলে সরকারকে স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ রাজনৈতিক রূপরেখা সামনে আনতেই হবে।
সবার দেশ/কেএম