Sobar Desh | সবার দেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৪৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বিষাক্ত বাতাসে বিপর্যস্ত নগর

ভয়াবহ বায়ুদূষণে দিল্লিতে হোম অফিস চালু

ভয়াবহ বায়ুদূষণে দিল্লিতে হোম অফিস চালু
ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ বায়ুদূষণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। প্রতিদিনই বাতাসের মান আরও অবনতির দিকে যাওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কর্মীদের অর্ধেককে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণ আরও তীব্র হওয়ায় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (গ্র্যাপ)-এর চতুর্থ ধাপ বা স্টেজ–৪ কার্যকর করা হয়েছে। এর আওতায় সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলোকে ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে কার্যক্রম চালাতে বলা হয়েছে এবং বাকি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর গ্র্যাপ–৩ কার্যকর হলে একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো। তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তখন তা প্রত্যাহার করা হয়।

দিল্লি ও আশপাশের অঞ্চলের বায়ুমানের অবনতির পর শনিবার বিকেলে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম) প্রথমে গ্র্যাপ–৩ কার্যকর করে। কিন্তু সন্ধ্যার মধ্যেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তা বাড়িয়ে গ্র্যাপ–৪ ঘোষণা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার বিকেল ৪টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিলো ৪৩১, যা সন্ধ্যা ৬টার দিকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪১–এ। এ মাত্রা ‘চরম বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত।

সিএকিউএম এক বিবৃতিতে জানায়, বর্তমান বায়ুমানের প্রবণতা এবং ভবিষ্যতে আরও অবনতির আশঙ্কা বিবেচনায় নিয়ে পুরো জাতীয় রাজধানী অঞ্চলজুড়ে গ্র্যাপ–৪–এর আওতায় সব ধরনের কঠোর ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে দূষণের সরাসরি প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্কদের পাশাপাশি শিশু ও তরুণরাও রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজধানীর হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, বুকে চাপ ও কাশির রোগীদের ভিড় বাড়ছে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে ওখলার একটি হাসপাতালের চিকিৎসক অভি কুমার বলেন, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যার জন্য সরাসরি বায়ুদূষণই দায়ী। তিনি জানান, অনেক রোগীর উপসর্গ আগের তুলনায় বেশি তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। নিয়মিত চিকিৎসার পরও অনেকেই পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছেন না। এমনকি যাদের আগে কখনো শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিলো না, তারাও এখন আক্রান্ত হচ্ছেন—যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

চিকিৎসকদের মতে, পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ কণা, নাইট্রোজেন অক্সাইড, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, যানবাহনের ধোঁয়া ও শিল্পকারখানার বর্জ্য ফুসফুসের মাধ্যমে দ্রুত রক্তে মিশে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এতে শ্বাসনালিতে জ্বালা, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি নানা জটিলতার ঝুঁকিও বাড়ে।

আরেক চিকিৎসক অনিল গোয়েল বলেন, ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসব সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। সকালে হাঁটা বা বাইরে শরীরচর্চার পরও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দূষিত বাতাসে দীর্ঘ সময় থাকলে শিশু ও তরুণদের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

সবার দেশ/কেএম

শীর্ষ সংবাদ:

হাদির কিছু হলে সেদিনই সরকারের শেষদিন হবে-কঠোর হুঁশিয়ারি ইনকিলাব মঞ্চের
খালেদা জিয়ার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল
জকসু নির্বাচনে ভিপি পদসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার
তফসিল ঘোষণার পর লালমনিরহাট জুড়ে উৎসবের আমেজ
নোয়াখালীতে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
ফুলে ভরেছে যশোরের গদখালী, চাষিদের মুখে ফের হাসি
ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে সোমবার রাজধানীতে সর্বদলীয় প্রতিরোধের ডাক
হাদির হামলাকারীদের আশ্রয় দিলে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ: হুঁশিয়ারি ইনকিলাব মঞ্চের
প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে জাতিসংঘ মহাসচিবের শোক
বেনাপোল রেলপথে পণ্য আমদানিতে ধস
সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে হাদিকে, প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
হাদির ওপর গুলি ‘মাথার ওপর বাজ পড়ার মতো’: সিইসি
বিচারের মুখোমুখি দাউদকান্দির সাবেক চেয়ারম্যান সুমন