নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা জানালো কর্তৃপক্ষ
ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
দেশজুড়ে চলমান নিরাপত্তা অস্থিরতার মধ্যে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) হঠাৎ করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে সেন্টারটি সম্পূর্ণ স্থগিত রাখা হয়েছে, যা ভারত যাত্রার হাজারো আবেদনকারীকে বিপাকে ফেলেছে। এ সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতির সরাসরি প্রভাব, যা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার ছায়ায় আরও গভীর হয়েছে।
আইভিএসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ivacbd.com-এ প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত নোটিশে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে যমুনা ফিউচার পার্কের ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার আজ দুপুর ২টায় বন্ধ হয়ে যাবে।’ নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আজকের অ্যাপয়েন্টমেন্টধারীদের ভিসা সাবমিশন গ্রহণ করা যাবে না, তবে তাদের জন্য পরবর্তী তারিখে নতুন স্লট পুনর্নির্ধারণ করা হবে। আবেদনকারীদের ধৈর্যশীল হয়ে ওয়েবসাইট বা হটলাইনের মাধ্যমে নিয়মিত আপডেট চেক করতে বলা হয়েছে। যোগাযোগের জন্য হটলাইন নম্বর ০৯৬১২ ৩৩৩ ৬৬৬ এবং ০৯৬১৪ ৩৩৩ ৬৬৬ চালু রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে-ভারত রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে, বিশেষ করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনের আসামি ভারতে পলাতক হাসিনাসহ আওয়ামী দুর্বৃত্তদের দেশে ফিরিয়ে না দেয়া এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টার আসামি ফয়সালকে ভারতে আশ্রয় দেয়াকে কেন্দ্র করে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা, হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েছে, যার ফলে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং অনেক জায়গায় কার্যক্রম সীমিত বা স্থগিত করা হচ্ছে। এরমধ্যে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে তলব এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতকে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে পাল্টাপাল্টি তলব এ উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের আইভিএসি বন্ধ হওয়ায় চিকিৎসা, উচ্চশিক্ষা, ব্যবসা বা পর্যটনের উদ্দেশ্যে ভারত যাওয়ার পরিকল্পনা করা লক্ষাধিক মানুষ এখন অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। অনেকের ভিসা প্রক্রিয়া মাঝপথে আটকে যাওয়ায় ভ্রমণের সময়সূচি বিপন্ন হয়েছে। সেন্টার পুনরায় চালু হওয়া এবং নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লটের সময়সূচি জানানো হয়নি, তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আরও বিলম্ব হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সবার দেশ/কেএম




























